কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত গুলোর মধ্যে ইনানী সমুদ্র সৈকত অন্যতম। সাধারণত কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এর কথা আসলে চোখে বাসে হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র সৈকত ও নানান দোকানপাট আর কোলাহল। তবে অনেকেই আছে যারা সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে চান কিন্তু কোলাহল মুক্ত। তাদের জন্য ইনানী সমুদ্র সৈকত আকর্ষণের কেন্দ্রবৃন্দ হতে পারে। তাই আজ আলোচনা করবো এই ইনানী বীচ নিয়ে। যাতে আপনারা এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
ইনানী সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত ?
কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ দিকে কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৫/২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে এই ইনানী সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। এটি মূলত উখিয়া উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত। ডলফিন মোড় কক্সবাজার এর হাতের ডানে অর্থাৎ মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে টেকনাফ যাওয়ার পথে হিমছড়ির পরে এই ইনানী বীচ।
ইনানী যাওয়ার উপায় :
মেরিন ড্রাইভ রোড শুরু যেখান থেকে হয় সেখানে গিয়ে সিএনজি, অটো,মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে করে সহজেই ইনানী যেতে পারেন। যদি পরিবারের সংখ্যা বেশী হয় তাহলে চান্দের গাড়ী বা ট্যুরিস্ট জ্বীপ নিয়ে যেতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে হিমছড়ি, ইনানী,পাটুয়ারটেক, শাহপরীর দ্বীপ সহ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলো ও উপভোগ ও ভ্রমণ করতে পারেন। যাত্রা পথে পাহাড় সমুদ্রের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

ইনানী সমুদ্র সৈকত এর বিশেষত্ব:
কক্সবাজারের অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের মতো ইনানী ও একটা সমুদ্র সৈকত। যা অনেকের কাছে ইনানী বীচ নামে ও পরিচিত। তবে এটি অন্যসব বীচের তুলনায় অনেকের কাছে আলাদা। কারণ এই বীচে রয়েছে পাথরযুক্ত বীচ। ইনানীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এই পাথরগুলো।
সৈকত জুড়ে রয়েছে বড় ছোট পাথরগুলো। কক্সবাজারে অন্য কোথাও এই পাথরময় বীচ নেয়। জোয়ারের সময় এই পাথরগুলো পানিতে ডুবে যায় অর্থাৎ দেখা যায় না তেমন। আবার ভাটার সময় এই পাথরগুলো দেখা যায়। তখন অনেকেই পাথরে বসে, দাঁড়িয়ে ছবি তুলে।
তাছাড়া ইনানী বীচের পানি অনেকটা স্বচ্ছ ও নীলচে এবং অন্যান্য বীচের চেয়ে অনেকটা পরিষ্কার ও সতেজ।
এই ছাড়া এইখানে তুলনামূলক কম কোলাহল। লোকজনের ভিড় জম ও নির্জনতা রয়েছে। তাই সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতিতে একান্ত ভাবে ও ভিন্ন ভাবে উপভোগ করতে চাইলে কক্সবাজারের এই ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া দরকার।
Faq – ইনানী সমুদ্র সৈকত নিয়ে সাধারণ জিজ্ঞেসা :
- ইনানী যেতে কতো সময় লাগে ?
আপনি যদি কক্সবাজার থেকে যান তাহলে সাধারণত ৪০-৫০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
- ইনানীতে কি সাঁতার কাটা নিরাপদ ?
না কাঁটায় ভালো। কারণ এইখানে পাথর থাকাতে হাটতে গিয়ে ও অনেকের পা কেটে যায়। তাই সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- ইনানীতে কি হোটেল বা রিসোর্ট রয়েছে ?
হ্যা। বর্তমানে ইনানীর আশেপাশে অনেক রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে। তবে বেশীর ভাগ লোকেই কক্সবাজার শহরে হোটেল নিয়ে ইনানী বা অন্যান্য জায়গা গুলো ঘুরে থাকে। যেহেতু দূরত্ব বেশী না।

কক্সবাজারের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে ইনানী সমুদ্র সৈকত ও অন্যতম। যেখানে প্রকৃতির আসল অনুভূতি উপভোগ করতে পারবেন। সাধারণত সমুদ্র সৈকত গুলোতে সমুদ্রের ঢেউ এর সাথে মানুষের কোলাহল ও থাকে বেশী।
কিন্তু এই ইনানী বীচে সমুদ্রের ঢেউ এর সাথে রয়েছে পাথরময় দৃশ্য এবং কোলাহল মুক্ত। তাই কক্সবাজারে আসলে ইনানী সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে ভুলবেন না। আর এই বিষয়ে যদি কোন পরামর্শ ও তথ্য দরকার হয় তাহলে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।