অন্যদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নতুনদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী ও। কারণ যিনি বা যারা আগে কক্সবাজার ভ্রমণ করে গেছেন তিনি স্ব শরীরে সব কিছু নিজের চোখে দেখেছেন এবং বাস্তব ভাবে সে সব বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করেছেন।
যেমন, কোন হোটেলে থেকেছে,কোথায় খেয়েছে, কীভাবে কীভাবে কি নিয়ে গিয়েছে এক কথায় সকল কিছু উনি সরাসরি করেছে তাই উনার ঐসব অভিজ্ঞতা গুলো যখন নতুনরা জানবে মানে যারা নতুন করে কক্সবাজার যাবে তারা পড়ে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারবে এবং এতে অনেক উপকার ও হবে।

জেনে নিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা:
– – বীচে নামার সময় অনেক ফটোগ্রাফার ছবি তোলার জন্য জোর করে তখন এক পর্যায়ে ছবি তুলতে বাধ্য হয় কিন্তু সে জোর করে সব গুলো ছবি নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে একই ছবি অনেক গুলো আছে যা নিতে না চাইলে ও নিতে বাধ্য করে।
— আগে থেকে খুঁজ খবর নিয়ে আসাতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তাই আপনারা যারা আসবেন অবশ্যই আগে থেকে খবর নিয়ে এবং জেনে আসবেন।
— ছুটির দিন গুলোতে হোটেল পেতে অনেক কষ্ট তাই আগে থেকে রুম বুকিং করে আসবেন অবশ্যই। আর ছুটির দিন গুলোতে চাপ ও থাকে বেশী। তাই যেকোনো কিছু দরদাম করে কেনার চেষ্টা করবেন। আর ছোট বাচ্চা থাকলে বা পরিবারের সদস্য বেশী হলে অবশ্যই এক সাথে থাকার চেষ্টা করবেন।
— যারা কক্সবাজার হোটেল কাছাকাছি সমুদ্র সৈকত এর দিকে থাকতে চান তারা অবশ্যই আগে থেকে জেনে নিবেন বীচ থেকে হোটেল এর দূরত্ব কত টুক সেটা। কারণ না হয় হোটেল থেকে বীচের দূরত্ব অনেক বেশী হয়ে যাবে। তখন কষ্ট হবে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে নির্দেশনা:
- বাস বা ট্রেন থেকে নামার পর দেখে শুনে অটো বা গাড়ীতে উঠবেন। অবশ্যই উঠার আগে নির্ধারিত গন্তব্য স্থান উল্লেখ করে ভাড়া দরদাম করে উঠবেন।
- সম্ভব হলে আগে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে আসবেন। কিন্তু বুকিং দেয়ার আগে ও ভাড়া দরদাম করে তারপর দিবেন। যারা আগে থেকে বুকিং করতে পারবেন না বা কক্সবাজার এসে হোটেল বুকিং করতে চান তারা অবশ্যই নিজেরা যাচাই করে রুম দেখে দরদাম করে তারপর হোটেল উঠবেন। ভূলে ও অটো ও গাড়ি ওয়ালাদের ঠিক করা বা কথা মতো হোটেলে উঠবেন না।
- কক্সবাজারে আসার সময় অবশ্যই এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদ সাথে রাখবেন। হোটেল বুকিং এর সময় দরকার হয় এবং আরো প্রয়োজনে যদি লাগলে দেখাতে পারেন মতো।
- বীচে নামার সময় আপনার মূল্যবান জিনিস পত্র হোটেল রুমে রেখে আসবেন। আর বীচে গোসল করলে মোবাইল মানি ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস কাউকে দিয়ে বীচ সীট ভাড়া নিয়ে বসতে বলবেন। বীচ সীট ভাড়া ঘন্টায় ৩০ টাকা করে। সীট ভাড়া নেওয়ার সময় অবশ্যই টোকেন নিবেন যেখানে সময় লেখা থাকবে।
- পানিতে গোসল করতে নামার সময় যেখানে লাইফ গার্ড আছে তার আশেপাশে নামার চেষ্টা করবেন এবং জোয়ার ভাটার সময় জেনে তারপর নামুন।
আপনারা যদি ২ জন থাকেন বা মূল্য বান জিনিস পত্র গুলো দেয়ার মতো কেউ না থাকে তাহলে প্রতিবেশী’ কে দিতে পারবেন৷ কক্সবাজারের ট্যুর গাইড বা টুরিস্টদের সঙ্গী হিসেবে কাজ করে এই প্রতিবেশী। যারা সবাই লোকাল। ট্যুর গাইড,কনসালটেন্সি, হোটেল বুকিং, খাওয়া, যাতায়াত, কেনা কাটা সহ আপনার নিরাপত্তায় সব সময় কাজ করবে এই প্রতিবেশী। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন: ০১৭৮৭৭৭১২০০
- বীচ সীটে বসে কোন ম্যাসেজ বয়কে দিয়ে ম্যাসাজ করাবেন না। তারা এসে জোড় করে করতে চাইলে তাড়িয়ে দিবেন বা কিটকটে দ্বায়িত্বে থাকা কর্মিকে সরিয়ে দিতে বলবেন। অথবা টুরিস্ট পুলিশকে জানাবেন। ( ম্যাসাজের আড়ালে তারা আপনার মোবাইল, মানি ব্যাগ সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে যেতে পারে বা আপনাকে কিছু শুকিয়ে অজ্ঞান করে সব কিছু নিয়ে যেতে পারে।)
- বীচ এর ফটোগ্রাফার এর থেকে ছবি তুললে আগে থেকে কথা বলে নিবেন দরদাম করবেন,সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করে নিবেন। তার লাইসেন্স আছে কিনা যাচাই করে নিবেন।
- বীচ বাইক,জেট স্কি এই সবের দাম নির্ধারণ করে দেয়া থাকে, তাই এইসবে উঠার আগে অবশ্যই দরদাম করে উঠবেন।
- হোটেল খাবার খেতে গেলে দাম দর জিজ্ঞেস করে তারপর খাবার অর্ডার করুন।
- বীচ এলাকা ও এর আশেপাশে নিরাপদ থাকে তবে যেখানে মানুষ জন কম এবং সন্ধ্যার পর ঝাউবন ও অন্ধকার এলাকায় না যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- যেকোনো আইনী সহায়তা ও হয়রানি প্রতিরোধে সরাসরি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করবেন বা 999 এ কল দিবেন।
যারা আগে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছেন আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতা গুলো লিখুন, শেয়ার করুন যাতে আপনাদের তথ্য ও পরামর্শ গুলো নতুনরা জানতে পারে।