কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার রাজারকুল গ্রামে অবস্থিত জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার। রামু উপজেলার দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে আসলে বাকখালী নদীর ঐপাড়ে থাকা পাঠাগারে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।
জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার এর পথচলা :
২০১৭ সালের ১৪ই এপ্রিল রাজারকুল গ্রামের কিছু তরুণ-তরুণীদের নিয়ে এবং গ্রামের মানুষের সহযোগীতায় এই পাঠাগারটি স্থাপিত হয়েছে। শুরুটা ছিলো খুব বেশী চ্যালেন্জিং ও কষ্টের। কারণ হঠাৎ করে গ্রামের মানুষকে বই পড়ার উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বুঝানো, তাদেরকে রাজি করা এইসব অনেক কষ্ট করে করতে হয় তাদের।

তার মধ্যে গ্রামটি ছিলো মেইন স্টেশন থেকে একটু দূরে নদীর ওপারে। শুরুর দিকে ছোট একটা দোকানের মতো জায়গায় অল্প সংখ্যাক বই নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু তাদের চেষ্টা ইচ্ছে ও মনের জোরে আজ জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার সরকারি নিবন্ধিত ও তাদের সংগ্রহে আছে প্রায় ১০ হাজারের ও বেশী বই ৷
জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের কার্যক্রম:
বই পড়ার প্রতি এলাকার ছেলে মেয়ে সহ সকলকে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি এইখানে হয় সংস্কৃতি চর্চা। উৎযাপন হয় বিভিন্ন দিবস সেই সাথে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে থাকে। ছোটদেরকে দেখানো হয় তাদের উপযোগী সিনেমা। পাঠ চক্র হয়।

তাছাড়া এলাকার বা আশেপাশে কেউ অসুস্থ হলে এবং আর্থিক অভাব থাকলে তাদের জন্য সকলের নিকট সহায়তার আবেদন ও করে থাকে এই পাঠাগার। বলা যায় এটি শুধু একটা পাঠাগার নয় বরং এটি এলাকার মানুষের একটা শক্তি। যেখান থেকে অনেকেই নানান ভাবে উপকার পেয়ে থাকে।

কিভাবে যাবেন ?
জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের যেতে হলে আপনাকে রামু চৌমুহনী স্টেশন থেকে পূর্ব রাজারকুল বড়ুয়া পাড়া যাওয়া গাড়ী করে যেতে হবে। ছোট ছোট কিছু অটো রিকশা বা মিনি টমটম আছে যা ৫০ টাকা মতো নিবে রামু চৌমুহনী স্টেশন থেকে একদম পাঠাগারের সামনে।
যাওয়ার আগে পাঠাগার কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন। যোগাযোগ এর মাধ্যম: 01813-954353
জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার বর্তমানে কক্সবাজারের মধ্যে সুপরিচিত একটা পাঠাগার হিসেবে পরিচিত। যার পথচলায় আলোকিত হয়েছে অনেকেই। সেরকম আলো ছড়ানো প্রতিষ্ঠান থেকে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।