ডলফিন মোড় কক্সবাজার এর বিস্তারিত | Best Details 2025

ডলফিন মোড় কক্সবাজার এটি এমন একটা জায়গা যা পর্যটকদের নিকট অনেক পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে চিহ্নিত। কারণ কক্সবাজারে গাড়ী করে আসা লোকদের নিকটি এটি কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। এইখানের ডাল বেয়ে গাড়ী গুলো কক্সবাজারে প্রবেশ করে। ডলফিন মোড় হিসেবে বললে ও মূলত এটি ‘কলাতলি মোড়’ হিসেবে পরিচিত।

তবে সব চেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ডলফিন মোড় হিসেবে সবাই চিনলে ও এইখানের মাছের ভাস্কর্যটি হচ্ছে হাঙরের ভাস্কর্য।

ডলফিন মোড়ের অবস্থান ও গুরুত্ব:

কলাতলি মোড় যা ডলফিন মোড় নামে পরিচিত এটি কক্সবাজারের প্রধান বীচ গুলোর মধ্যে একটি বীচ সংলগ্ন জায়গা বা স্থান। এই ডলফিন মোড় থেকে সোজা ২/৩ মিনিট গেলেই ‘কলাতলি বীচ’

কক্সাবাজারে গাড়ী নিয়ে আসলে উচু ঢাল হয়ে নামার পড়েই এই ডলফিন মোড় হাতের ডান পাশে অবস্থিত।

কক্সবাজারে আরেক বিখ্যাত জায়গা মেরিন ড্রাইভ রোড এবং টেকনাফ রোড এই ডলফিন মোড় এর থেকে হাতের বাম পাশে। যেখান দিয়ে ইনানি, হিমছড়ি, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ শাহপড়ীর দ্বীপে যাওয়া যায়। তাছাড়া অনেক হোটেল ও রিসোর্ট এই রোড দিয়ে অবস্থিত।

ডলফিন মোড়
ডলফিন মোড়

আশেপাশের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট:

ডলফিন মোড়ের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সায়মন বীচ রিসোর্ট, সী মুন,রামাদা হোটেল সী ক্রাউন সহ আরো অনেক হোটেল এই ডলফিন মোড়ের পাশেই অবস্থিত।

তাছাড়া পউশি হোটেল, পালংকি হোটেল সহ আর জনপ্রিয় ছোট বড় অনেক রেস্টুরেন্ট এই জায়গায় রয়েছে।

পর্যটকদের জন্য সতর্কতা বা পরামর্শ:

ডলফিন মোড় বা কলাতলি মোড় যাই বলা হোক না কেন এটি যেহেতু কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এবং অধিকাংশ পর্যটক মেরিন ড্রাইভ হয়ে ঘুরতে যায় তাই এই জায়গায় একটু বেশী জনবহুল ও ব্যস্ত থাকে। তাই চলা ফেলা বা হাঁটাচলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

তাছাড়া আগে থেকে কোন হোটেল বুকিং না করে থাকলে এই ক্ষেত্রে টমটম বা অটোচালকদের পছন্দ মতো হোটেলে না যাওয়ার চেষ্টা করবেন। গেলে ও হোটেল সম্পর্কে জানা থাকলে বা চেনা থাকলে যেতে পারেন। বিশেষ করে যদি রাস্তা না চিনেন বা আগে কক্সবাজার না আসলে এই বিষয়গুলো বেশী খেয়াল রাখবেন।

আর অবশ্যই অটো বা গাড়ীতে উঠলে আগে থেকে জায়গার নাম ও দরদাম এর কথা ভালো করে জানিয়ে দিবেন। যেহেতু নতুন জায়গা অনেক অসাধু লোকজন এই সুযোগ খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারে। তাই সতর্কতা থাকবেন সবসময়।

আর আপনাদের যদি কোন গাইড দরকার হয় হোটেল বুকিং, খাবার,ঘুুরাঘুরি, গাড়ী ভাড়া সহ কক্সবাজার ভ্রমণের সকল বিষয়ে সাহায্য লাগলে আপনারা কক্সবাজারের লোকাল স্টার্টআপ pratibeshi এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ডলফিন মোড় কক্সবাজার এর বর্ণনা:

ডলফিন মোড় কক্সবাজার এর অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেটা কলাতলিতে অবস্থিত। কলাতলি, সুগন্ধা, লাবণী যে কয়েকটি বীচ পয়েন্ট রয়েছে তার মধ্যে এটি একটি। এই ডলফিন মোড় থেকে কলাতলী বীচে যেতে লাগে মাত্র ২/৩ মিনিট।

যদিও বা এর নাম ডলফিন মোড় হলে ও এর ভাস্কর্য গুলোতে আছে কিন্তু ‘হাঙর’ যা নিয়ে আলোচনা হলে এটি পরিবর্তন করার কথা হয়। জানা যায় আজ ০৮ই মে ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার ডলফিন মোড় কক্সবাজার এর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে এইখানে নতুন ভাস্কর্য করা হবে। তবে হয়তে নাম টা সেই ডলফিন মোড়ই থেকে যাবে লোকজনের মুখে।

ডলফিন মোড় কক্সবাজার এর ছবি
ডলফিন মোড় কক্সবাজার এর ছবি

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ):

ডলফিন মোড় কোথায় অবস্থিত?

কক্সবাজারের কলাতলি এলাকায় একদম ঢালু থেকে নেমেই এটি অবস্থিত।

ডলফিন মোড় থেকে কোথায় কোথায় যাওয়া যায়?

এখান থেকে আপনি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, ইনানী, হিমছড়ি, টেকনাফ যেতে পারেন।

ডলফিন মোড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন?

ডলফিন মোড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে, তবে ব্যক্তিগত সতর্কতা অবলম্বন করা সবসময়ই ভালো। এর পাশে পুলিশ বক্সের রুম ও রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হিসেবে কম বেশী সকলের কাছে এই ডলফিন মোড় কক্সবাজারের কিছু স্মৃতি ও থেকে থাকে। কক্সবাজারে এসে এই ডলফিন মোড় দিয়ে কম বেশী সবাই চলাচল করে।